খায়রুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে অবস্থিত “সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন”-এর অংশীদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) সকাল ১১টায় সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৩ সালে তিনি এবং মোস্তাকিম যৌথভাবে ১২ গণ্ডা জমির ওপর “সী গোল্ড ফিলিং স্টেশন” প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছরের ৩ মার্চ ১,০০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি ব্যবসায়িক চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়। প্রতিষ্ঠানের জন্য উভয়ে ব্যাংক থেকে একটি ঋণ গ্রহণ করেন, যেখানে সিরাজুল ইসলাম ছিলেন মর্টগেজর ও গ্যারান্টর এবং মোস্তাকিম ছিলেন প্রোপ্রাইটর।
তিনি বলেন, ব্যবসা সফলভাবে চালু হওয়ার পর লাভের টাকায় একটি রোলিং মিল, তিনতলা ভবন, তামার কারখানা ও গরুর খামার গড়ে তোলা হয়। এছাড়াও সরকারি লিজের জায়গায় তিনটি গোডাউন নির্মাণ করা হয়। ২০১১ সাল থেকে লাভের হিসাব ও দায়-দেনা পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে ২০১৬ সালে তাকে জোর করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।
সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে ৪১টি দলিলে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতে তিনি ও মোস্তাকিম সমান অংশীদার ছিলেন। তাদের নামে ১২টি নামজারী খতিয়ান সৃজন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে মোস্তাকিম মারা যাওয়ার পর তাঁর সন্তান আল আমিন পারভেজ দীপ্ত ও আল হামিদ তুর্য তাঁকে কর্মচারী বলে দাবি করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মোস্তাকিমের ওয়ারিশরা ফিলিং স্টেশনের দখল নিয়ে সেখানে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট করছে, মূল্যবান মালামাল চুরি হচ্ছে এবং সেগুলো স্ক্র্যাপে পরিণত হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, মোস্তাকিমের মৃত্যুর পর আদালত কর্তৃক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে, ফলে ওয়ারিশগণের দখল আইনি নয়। এর পরেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, যাতে তাঁর প্রাপ্য অর্থ (২০১৩–২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী) পরিশোধ না করতে হয়।
সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, জায়গায় গেলে তাঁকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বাধা দেওয়া হয় এবং এ বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন: ইয়াকুব কাউসার বাপ্পি, আশেকুল ইসলাম সাব্বির, মুহাম্মদ রাশেল এবং মুস্তাফিজুর রহমান।