ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিল সৌদি আরব। তবে ইসরায়েল সে বৈঠক অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, যার ফলে বৈঠকটি এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার (৩০ মে) এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, এই বৈঠককে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস “স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র” প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এ কারণে ইসরায়েল এই উদ্যোগকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে এবং বৈঠক আয়োজনের অনুমতি দেবে না।
রবিবার পশ্চিমতীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, মিসর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান যদি রামাল্লায় পৌঁছাতেন, তবে তা হতো ১৯৬৭ সালের পর কোনো সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পশ্চিমতীর সফর।
ইসরায়েলি শর্ত ও প্রতিবন্ধকতা
পশ্চিমতীর এখনো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায়, সেখানে প্রবেশ করতে হলে ইসরায়েলের অনুমতি প্রয়োজন। আরব মন্ত্রীদের জর্ডান থেকে হেলিকপ্টারে রামাল্লায় প্রবেশের পরিকল্পনা থাকলেও, ইসরায়েলের বাধার কারণে সেটিও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এই ইস্যুতে আলোচনা করেন এবং বৈঠকটির আয়োজন প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
টাইমস অব ইসরায়েল আরও জানায়, যদি ইসরায়েল আরব মন্ত্রীদের পশ্চিমতীরে প্রবেশে বাধা দেয়, তবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।