ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একই দিনে চার দেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে, যেখানে অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজাসহ ইসরায়েল ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ার বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছেন আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে হোদেইদায় অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এ ছাড়া লেবানন ও সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে গত রোববার গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা। এই পরিকল্পনার মধ্যে গাজা পুরোপুরি দখল ও ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো বিষয় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রোববার সন্ধ্যায় গাজায় হামলা বাড়ানোর বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই বৈঠকেই চার দেশে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই তথ্যটি হামলার সময়কাল এবং সিদ্ধান্তের উৎস সম্পর্কে আলোকপাত করে। নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার এই বৈঠকটি সম্ভবত হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়া এবং ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনা ও পরিকল্পনার অংশ ছিল। গাজায় হামলা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং একইসাথে অন্যান্য দেশে হামলার অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি আরও জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকমাস ধরে পর্যায়ক্রমে গাজায় সামরিক হামলা বৃদ্ধির এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মিতক্রমে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৫২,৫৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১৮,৬১০ জন আহত হয়েছেন। সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা আপডেট করে ৬১,৭০০ জনেরও বেশি বলেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে বন্দী করা হয়েছিল। এই হামলাই মূলত বর্তমান ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের মূল কারণ।