২০২৫ সালের ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে মোট ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন নিহত ও ১১৯৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩১ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯০ জন এবং আহত হয়েছেন ১,১৮২ জন। এর পাশাপাশি রেলপথে ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হন। আর নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, যা সামগ্রিক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলে দেয়।
সংগঠনটি জানায়, গত বছরের ঈদুল আজহার তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ২২.৬৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬.০৭ শতাংশ, এবং আহতের সংখ্যা বেড়েছে ৫৫.১১ শতাংশ।
সংগঠনটি দুর্ঘটনা রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ১২ দফা সুপারিশ পেশ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো:
ছোট যানবাহন মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ
ঈদের আগেই কমপক্ষে চার দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা
পরিবহন চালকদের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ ও সনদ প্রদান
মহাসড়কে পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার নির্মাণ
রাস্তায় মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম জোরদার
যাত্রীদের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালু
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “প্রতিবার ঈদে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার ফল। দুর্ঘটনা রোধে সরকার, পরিবহন মালিক ও চালকদের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।