কোরবানির ঈদের আগে ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় দেশের পুঁজিবাজারে দুইটি শনিবার—১৭ মে ও ২৪ মে—স্বাভাবিক লেনদেন চলবে। সাধারণত শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও এবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয়ই পূর্ণদিবস লেনদেনের ঘোষণা দিয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের দীর্ঘ ছুটির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা সময়মতো প্রয়োজনীয় লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন।
ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের লেনদেন বন্ধ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মোট ১০ দিন দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
সরকার ১১ ও ১২ জুন ঈদের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। এর সঙ্গে ১৩ ও ১৪ জুন শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় এবং ৫ জুন থেকে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পূর্বনির্ধারিত ছুটির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই বিরতিহীন ছুটির সিদ্ধান্ত এসেছে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গেও মিল থাকবে
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের (ডিওএস) জারি করা এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, ঈদের আগের দুই শনিবার (১৭ ও ২৪ মে) দেশের সব তফসিলি ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকিং কার্যক্রম ও পুঁজিবাজার লেনদেন একসঙ্গে সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে ঈদের ছুটিতে অন্যান্য ব্যাংকের শাখা বন্ধ থাকলেও সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথগুলো সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। ঈদের দিন ছাড়া এই কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পূর্বপ্রস্তুতির পরামর্শ
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, টানা ১০ দিনের ছুটি বাজারে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে তারল্য ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ কৌশল নির্ধারণে। তাই এই সময়ের আগেই বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় লেনদেন ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রোকার হাউজ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
সম্প্রতি বাজারে লেনদেন বেড়েছে
ঈদের আগের এ ঘোষণার মাঝে ইতোমধ্যে দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা লেনদেনের গতি দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য “শেয়ারবাজার যেন লুটেরাদের আড্ডাখানা না হয়”–এটি আলোচনায় এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার বিষয়টি পুনরায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
ঈদের পর নতুন করে বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা।