স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সাথে দেখা করতে পারবেন না। তাদের ওষুধের তথ্য জানানোর জন্য চিকিৎসকদের সাথে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাব বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সরাসরি চিকিৎসকদের সাথে দেখা করার সুযোগ বন্ধ করার সুপারিশটি নিঃসন্দেহে একটি বড় পদক্ষেপ। এর ফলে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে ওষুধ কোম্পানির প্রভাব কমার সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং তারা স্বাধীনভাবে রোগীদের জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে পারবেন বলে আশা করা যায়। ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের প্রস্তাবটি আধুনিক এবং স্বচ্ছ একটি উপায় হতে পারে।
কমিশন কর্তৃক স্বাধীন ও স্থায়ী ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন’ গঠন এবং ৭টি নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ স্বাস্থ্যখাতের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে। প্রস্তাবিত আইনগুলো— বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন, বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবেশাধিকার আইন, অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কমিশনার আইন, এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কমিশনার আইন— এই খাতকে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত ১২ সদস্যের এই কমিশন, যেখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, প্রাক্তন সচিব এবং একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীও রয়েছেন, তাদের সুপারিশগুলো স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। এখন দেখার বিষয়, এই প্রস্তাবগুলো কতটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।