জাহিদ খান, জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিনকে আজ (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কলেজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও শিক্ষার্থীরা।
নাগেশ্বরী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা তার অপসারণের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলন করলেও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় এতদিন তিনি বহাল ছিলেন।
৫ আগস্টের পর দেশব্যাপী ফ্যাসিস্ট অপসারণ অভিযানের মধ্যেও নাগেশ্বরী মহিলা কলেজ ব্যতিক্রম ছিল। অভিযোগ রয়েছে, কলেজের সভাপতির একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণেই জালাল উদ্দিন এতদিন ধরে পদে টিকে ছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্রমাগত আন্দোলনের ফলে প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।
সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পরপরই কলেজ ও আশপাশের এলাকায় স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করে। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা উল্লাস প্রকাশ করে এবং দ্রুত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, “অবশেষে আমরা স্বস্তি পেলাম। এতদিন ধরে আমরা যে অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, প্রশাসন আজ তার জবাব দিয়েছে।”
নাগেশ্বরী থানার ওসি মো: রেজাউল করিম রেজা জানান, “জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।তাকে গ্রেফতার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, জালাল উদ্দিনের গ্রেফতার ফ্যাসিস্ট অপসারণ আন্দোলনের বড় সাফল্য। তবে তারা চান, শুধু গ্রেফতার নয়, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একইসঙ্গে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির প্রভাব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠেছে।
এই ঘটনার পর নাগেশ্বরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।