প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ২:১৭:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
শাহীন মন্ডল বিশেষ সংবাদদাতা
কুষ্টিয়া মিরপুর থানা ধীন তালবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা গোপালপুর গ্রামের মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির (৪৫)পিতা মোঃ সাদেক আলী
গত ১৬ টি বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমল থেকে এখনো চলে বালুর ঘাট এজারা নেওয়ার নামে মানুষ ঠকিয়ে টাকা নেওয়ার ব্যবসা।
মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর এই মনির। জানা গেছে তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান মণ্ডল এর ছত্রছায়ায় যুগিয়া তালবাড়িয়া ধোলট মহল ইজারা নেওয়ার নামে বহালবাড়িয়া তালবাড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ খেটে খাওয়া কিছু মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষর তালবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান মণ্ডল গত ১৬টি বছর এই মনির-কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে বালুর ঘাট এযারা দেওয়ার নামে বিভিন্ন সময় প্রায় নয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা ঘাট এজারা না পেলে তাদের ন্যায্য পাওনা ফেরত চাইলে ফিরত না দিয়ে বিভিন্ন সময় খুন জখম এর হুমকি দিতে থাকেন। গোপন সূত্রে জানা গেছে পাওনাদাররা টাকা ফেরত চাইলে ওই মনির ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধভাবে আয়না ঘর স্থাপনের মতই ঠিক একই কায়দায় গুম করে দেবো বলে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মনির ইসলাম মনির তালবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হওয়ায়, আর দিনের ভোট রাতে করা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান মন্ডলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের ছত্রছায়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের বিভিন্নভাবে রক্ত চুষে আসছিলেন। শুধু এভাবেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের রক্ত চুষে তারা ক্ষান্ত হননি, খুনি হাসিনার মতোই তালবাড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের উপর দিনের পর দিন চালিয়ে আসছিলেন নিপীড়ন ও নির্যাতন এদের নিষ্ঠুরতা এতটাই ভয়াবহতার রুপ ধারন করে যে তাদের আশেপাশে টাকা চাওয়া তো দূরের কথা বাজার, ঘাটে, মাঠে সেই পাওনাদাররা যদি একে অপরের সঙ্গে উক্ত টাকার বিষয়ে আলোচনা করে থাকে সে কথা শুনলেই মেসেজ হাসিনার রুপ ধারণ করেন তারা,ভুক্তভোগীরা এমন অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে । এক সময় তাদের নির্যাতনের ভয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করেন পাওনাদাররা । গত আগস্টের ৫ তারিখের ছাত্র জনতা গণঅভ্যারথনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলাইন করলে তার সাথে সাথে এই দোষররাও আত্মগোপন করেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরে, কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়ে ঐসব সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর আব্দুল হান্নান মণ্ডল ও মনিরুল ইসলাম মনির এর বিরুদ্ধে কথা বলার বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, চাইছে সঠিক বিচার। স্থানীয়রা জানান এই খুনি হাসিনার দোসরদের প্রলোভনে পড়ে নির্যাতিত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ প্রায় ৯ কোটি টাকা হারিয়ে অনেকেই অসহায় হয়ে পড়েছে, কেউ হারিয়েছে তার মাঠের জমি, কেউ হারিয়েছে তার বাড়ির ভিটে, তাই সর্বস্তরের জনগণ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অতি দ্রুত এই দোষর-দের ধরে আইনের আয়ত্তা এনে সঠিক বিচার করে ভুক্তভোগীদের পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। উক্ত বিষয়ে চেয়ারম্যান ও তালবাড়িয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি হান্নান মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।