সাইফুল ইসলাম, রামগড় : খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার অধিনস্থ ৬নং ওয়ার্ড তৈচালাতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে সালিসে থাকা মোঃআবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করেছে তার পরিবার । নিহত কালামের স্ত্রী রেখা বেগম তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে বাদী হয়ে শুক্রবার ১০জনের বিরুদ্ধে রামগড় থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা হওয়ার পর শুক্রবার মধ্যরাতে তৈছালা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুরুল আলম (খোকন) পিতা মৃত হামিদুর রহমান,কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন ১।নরুল আবছার, পিতা রহিম উল্ল্যাহ,২।আব্দুল মোমিন,পিতা হোসেন আলী,৩।দাউদুল ইসলাম,পিতা আবু তাহের,৪।আবুল খায়ের ফাহিম, পিতা মৃত আবুল কালাম,৫।সাইফুল ইসলাম, পিতা হোসেন মিয়া, ৬। দেলোয়ার হোসেন পিতা মৃত ছেরাজুল হক,৭।মর্তুজা আলী, পিতা মৃত মুকবুল আহমেদ,৮।রহিম উল্ল্যাহ, পিতা মৃত আবুল খায়ের, ৯।আরিফুল ইসলাম, পিতা রহিম উল্ল্যাহ।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মঈন উদ্দিন জানান ‘হত্যা মামলার পরই আমরা অভিযানে নামি। প্রথম দিনে আসামি নুরুল আলম খোকন, পিতা হামিদুর রহমান,কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য যে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৮ঘটিকার সময় তৈছালায় মর্তুজা আলীর খেতে সাদ্দামের গরু ঢুকে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ডাকা সালিস চলাকালে হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সংঘর্ষে সালিসের সাক্ষী কালামসহ ৯ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালাম পরদিন শুক্রবার ভোরে মারা যান।