ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল, তবে তা আটকে দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার ভোরে ইরানে বড় ধরনের হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও খামেনির এক উপদেষ্টা নিহত হন। তবে ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ছিল খামেনিকে হত্যা করা। যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের কারণে সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “এখন পর্যন্ত ইরান কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেনি। যতক্ষণ তারা তা না করছে, ততক্ষণ আমরা ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টার্গেট করে হামলা চালানোর পক্ষে নই।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। রোববার ফক্স নিউজের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অনেক সময় এমন অনেক বিষয়ের খবর প্রকাশ পায়, যেগুলো আদৌ আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করব। ইরানে সামরিক অভিযানের একটি সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে সেখানকার সরকারের পতন।”
চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে এই ধরনের খবর নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, “এই সংঘাত সহজেই শেষ করা সম্ভব।” পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, তবে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি এ যুদ্ধে জড়াবে।”