ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক ও গুলির হামলায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২২০ জনের বেশি।
রোববার (১ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে এই হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিন মেডিকেল রিলিফ সোসাইটির বরাতে বলা হয়েছে, এ হামলায় হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
আলাদাভাবে, নেতজারিত করিডোর বিতরণ কেন্দ্রের কাছে গুলিতে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
ইসরায়েল গত তিন মাস ধরে গাজা উপত্যকাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এর আগে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও, গত মাসের শেষ দিকে ইসরায়েল ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বিতর্কিত সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। ব্যাপক অব্যবস্থাপনার কারণে বহু মানুষ কোনো ত্রাণই পাননি।
ক্ষুধার্ত ও হতাশ মানুষেরা ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হয়ে নিজেরাই খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, এবং সেই সময়ই ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম আবু সৌদ বার্তাসংস্থা এপি-কে বলেন, “ইসরায়েলি সেনারা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে অবস্থান করছিল। হঠাৎ গুলির মুখে পড়ে মানুষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।” তিনি জানান, একজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি সেখানেই মারা যান এবং আতঙ্কের কারণে তার মরদেহ কেউ সরিয়ে নিতে পারেনি।
এই হামলা এমন এক সময় ঘটলো যখন গাজায় চরম খাদ্য সংকট, চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়া, ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তার অভাবে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মহলের কড়া সমালোচনার মধ্যেও ইসরায়েল রাফাসহ গাজার বিভিন্ন অংশে সামরিক অভিযান জারি রেখেছে।