চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুইঝৌ প্রদেশের কিয়ানশি শহরে ঝোড়ো বাতাসে পর্যটকবাহী নৌকাডুবির ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এই দুর্ঘটনায় ১০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ৭০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি মে দিবসের ছুটির সময় ঘটেছে, যখন ওই অঞ্চলে অনেক পর্যটকের সমাগম ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধারকাজে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে, তিনি পর্যটন এবং গণপরিবহনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
এই তথ্যগুলো ঘটনার প্রেক্ষাপট এবং নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে। ঝোড়ো বাতাসের কারণে রবিবার এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে এবং বিবিসি সিনহুয়ার মাধ্যমে এই খবরটি বিশ্বকে জানিয়েছে। ৮৪ জন যাত্রী পানিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি ব্যাপক হতাহতের ইঙ্গিত দেয়, যার মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুর খবর ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আরও উদ্ধার অভিযান চলছে।
দুর্ঘটনার ব্যাপকতা এবং হতাহতের ঝুঁকির ধারণা পাওয়া যায়। ঝোড়ো বাতাসের কারণে আকস্মিক নৌকাডুবিতে এত বিপুল সংখ্যক যাত্রীর পানিতে পড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল। উদ্ধারকর্মীরা সম্ভবত দ্রুততার সাথে বাকি যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মে দিবসকে ঘিরে চীনে চলছে সপ্তাহব্যাপী ছুটি। এ সময় দেশটিতে থাকে পর্যটনের রমরমা মৌসুম। এর মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটল।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ ঘটনায় তীব্র শোক প্রকাশ করে উদ্ধার তৎপরতায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি একাধিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে পর্যটন ও গণপরিবহনে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা জরুরি।
চীনে নৌ দুর্ঘটনার একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে। দুই মাস আগে হুনান প্রদেশে আরেকটি যাত্রীবাহী নৌকার সাথে কার্গো জাহাজের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নৌপথে যাত্রী পরিবহনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এই দুটি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনা – একটি ঝোড়ো বাতাসে এবং অন্যটি সংঘর্ষের ফলে – কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা। নৌযানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করা এখন আরও জরুরি হয়ে পড়েছে।