২০২০ সালের পর আবারো শিরোপার শেষ লড়াইয়ে তারা। বিপরীতে স্বপ্ন ভেঙেছে আর্সেনালের।
সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয় আর্সেনাল ও পিএসজি |
মেসি-নেইমাররা নেই, নেই এমবাপ্পেও। তবে থেমে নেই পিএসজি। স্বপ্নের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ফরাসি জায়ান্টরা। ২০২০ সালের পর আবারো শিরোপার শেষ লড়াইয়ে তারা। বিপরীতে স্বপ্ন ভেঙেছে আর্সেনালের।
লন্ডনে প্রথম লেগ ১-০ ব্যবধানে জিতে ফাইনালের পথে এক পা এগিয়েই ছিল পিএসজি। দরকার ছিল ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে শুধু হার এড়ানো। তবে ঘরের মাঠে বুধবার জিতেই ফাইনাল নিশ্চিত করে পিএসজি।
বুধবার রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয় আর্সেনাল ও পিএসজি। যেখানে ২-১ গোলের জয় পায় স্বাগতিকেরা। দুই লেগ মিলিয়ে যেখানে তারা এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে।
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই আক্রমণে এগিয়ে থাকে আর্সেনাল। তবে পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মার কল্যাণে আসেনি গোল। ১৭তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট।
তবে গোলের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৭তম মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দেন রুইস। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার ফ্রি কিক থেকে বক্সে আসা বল বুক দিয়ে নামিয়ে বুলেট গতির শটে জালে জড়ান।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এটিই রুইসের প্রথম গোল। যে গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।
বিরতির পর চলা আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মাঝে ৬৩তম মিনিটে আরো একবার দোন্নারুম্মা হতাশ করেন সফরকারীদের।
২ মিনিট বাদেই আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় পিএসজি। হাকিমির শট লুইস-স্কেলির হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু ভিতিনিয়ার দুর্বল শট রুখে দেন আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়া।
তবে খানিকটা বাদেই ফের গোল উদযাপন করে পিএসজি। ৭২তম মিনিটেই ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় তারা। উসমান দেম্বেলের সাথে বল দেয়া-নেয়া করে জোরাল শটে বল জালে পাঠান আশরাফ হাকিমি।
দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজি তখন এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। তবে ৪ মিনিট পর প্রথম ও ম্যাচে নিজেদের একমাত্র গোলের সন্ধান পায় আর্সেনাল। গোল করেন সাকা। স্কোর তখন ৩-১।
এরপর আর্সেনাল আরো কিছু সুযোগ তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি। ফলে নিশ্চিত হয়ে যায় বিদায়। ২০০৬ সালের পর এবারই কেবল সুযোগ ছিল গানারদের ফাইনালে ওঠার। এবার সেই অপেক্ষা আরো বাড়ল।