• সারাদেশ

    জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়ি ভাংচুর, আহত ১০

      প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২৫ , ৬:৫০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়ি ভাংচুর, আহত ১০
    জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়ি ভাংচুর, আহত ১০

    আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন

    পঙ্কজ বিশ্বাস গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তারে জের ধরে প্রতিপক্ষের ৮ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে এবং প্রতিবন্ধী সহ অনেকেই মার খেয়েছে।

    ঘটনাটি সোমবার রাতে টার দিকে উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে আশুতিয়া গ্রামের সোহরাব খানের সাথে প্রতিবেশী হান্নান খানের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

    এরই সূত্র ধরে গত সোমবার সন্ধ্যায় সোহরাব খানের লোকজন হান্নান খানকে মারধোর করে। পরবর্তীতে হান্নান খানের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রাতে দিকে মস্তফা খানদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৮ টি বসত ঘর ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীদের বাধাঁ দিতে গিয়ে মহিলাসহ ১০ জন আহত হয়।

    আহতদের মধ্যে নান্নু খানের স্ত্রী লিপি (৪০) ও মজিদ খানের স্ত্রী আকলিমা (৬৫)কে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় ভাংচুরের স্বীকার হওয়া সোহরাব খানের স্ত্রী কহিনুর বেগম বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    কহিনুর বেগম বলেন, তারাবীর নামাজের সময় বাড়িতে পুরুষ সদস্যেরা ছিল না। এসময় হঠাৎ করে হান্নান খানের লোকেরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলাকারিরা আদম খন, নান্না খান, সেকেন্দার খান, সোহরাব খান, মজিদ খান, আতিকুজ্জামান খান, হাসান খান, আজিবর খান, জাকারিয়া খান ও শহিদখানের বসত ঘর ভাংচুর করে এবং কয়েকটি ঘরে লুটপাট চালায়।অনেক ঘর থেকে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে মজিদ খানের স্ত্রী আকলিমা বেগম (৬৫), নান্না খানের স্ত্রী লিপি বেগগ (৪০)সহ ১০ জন আহত হয়।

    হামলার বিষয়ে জানার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে হামলাকারীদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নাই।

    তবে উভয় পক্ষের মহিলারা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন করেছেন।

    কোটালীপাড়া থানার এস আই মামুন বলেন, দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content