রবিউল ইসলাম রাজ, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর জলঢাকায় বগুলগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের আর্থিক কেলেঙ্কারির মিথ্যা অভিযোগ ও মিথ্যা অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম। গত ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বিকেলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জলঢাকা উপজেলা শাখা কার্যালয়ে এ সম্মেলন করেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্যে বলেন,সম্প্রতি বগুলাগাড়ি স্কুল এন্ড কলেজের গুটি কয়েক শিক্ষক ফেসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে নাম স্বর্বস্ব ও অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনার সুত্রপাত ঘটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন করাসহ আমার ব্যক্তিগত সম্মান নষ্ট করতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা, ভর্তি ফি সহ অন্যান্য টাকা আদায়ের জন্য সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আদায়কৃত টাকার হিসেব চাইতে গেলে শুরু হয় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। এমনকি ষড়যন্ত্রকারীরা একত্রিত হয়ে অফিস সহকারী লায়লা আক্তারকে গলা ধাক্কা দিয়ে আমার রুম থেকে বের করে দেয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে পরিকল্পিত ভাবে দফায় দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক পাঠিয়ে বিব্রত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার পর তারা জোরপূর্বক আমাকে কক্ষের ভিতরে রেখে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন এবং হিসাব না দেওয়া পর্যন্ত তালা খুলবে মর্মে জানান। তাৎক্ষণিক আমি প্রশাসনের সহযোগিতায় তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে চলে আসি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এমন অসদাচার ও ষড়যন্ত্রমুলক কর্মকান্ড আমাদের যেমন হেয়পতিপন্ন করেছে তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। আমরা প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক উন্নয়ন কল্পে ও ষড়যন্ত্র মুলক কর্মকান্ড থেকে পরিত্রাণ পেতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই যে, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট নিহাদ সুলতানা, অফিস সহকারী লায়লা আক্তার প্রমূখ।