রাজশাহী ও নওগাঁর দুই বিএনপি নেতার মধ্যে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে একটি ফোনালাপ সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফোনালাপে রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান (রুবেল) এবং নওগাঁর মান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শাহজাহান আলীর মধ্যে কথোপকথন শোনা যায়।
ফোনালাপে মাহবুবুর রহমান বলেন, “১৭ বছর খাইনি, এখন খাব,” যা থেকে বোঝা যায়, দীর্ঘদিন পর তিনি কোনো ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন এবং তা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। জবাবে শাহজাহান আলী বলেন, তিনিও ১৬ বছর পর কাজ পেয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) রাজশাহীর বৃক্ষপালনবিদের কার্যালয় থেকে ৯টি লটে গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। শাহজাহান আলী দরপত্র জমা দিয়ে দুটি লটের কাজ পান। এ নিয়ে মাহবুবুর রহমান অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ফোনালাপে শাহজাহান আলীকে ভবিষ্যতে টেন্ডার জমা না দেওয়ার অনুরোধ জানান।
ফোনালাপে আরও শোনা যায়, মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা নিজেরাই খাইতে পাচ্ছি না। আমার কথা হলো আপনি ভাই টেন্ডার-মেন্ডার দিয়েন না, আমার অনুরোধ থাকল।” এ সময় তিনি অশ্লীল ভাষাও ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, “অনেক ছেলেপিলে থাকে। তাদেরও দাবিদাওয়া থাকে একটা কাজ হলে। কিন্তু শাহজাহান দেখা করেনি। তাই ফোন করে দুইটা কথা বলেছি। এটা ঠিক হয়নি।”
শাহজাহান আলী বলেন, “ওদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। সড়ক অফিসও ওই এলাকায়। ওদের অনেক কথাই থাকে। আমাকে ফোন করে বলেছে। আমার তো কিছু করার নেই।”
ফোনালাপের শেষদিকে মাহবুবুর রহমানের পক্ষ থেকে হারুন নামের একজন ব্যক্তি শাহজাহান আলীর সঙ্গে কথা বলেন এবং ভবিষ্যতে টেন্ডার জমা দেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান।
এই ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ঠিকাদারি কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।