রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী তিনটি সংগঠনের আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’। দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত এই সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী উপস্থিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।
এই কর্মসূচির আয়োজক তিনটি সংগঠন হলো—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। আয়োজকরা বলছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতা জাগাতে ও তাদের দাবি-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতেই এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে।
তারেক রহমানের ভার্চ্যুয়াল বক্তব্য সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের তরুণদের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন।
তার বক্তব্যে থাকছে তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ রূপরেখা, সুশাসনের ধারণা এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি।
উপস্থিত থাকবেন সিনিয়র নেতারা সমাবেশে আরও উপস্থিত থাকবেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, যাদের মধ্যে রয়েছেন—
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এবং সালাহউদ্দিন আহমদ।
তারা তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার ও আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাবেন।
তারুণ্যের পক্ষে কর্মসূচির ধারাবাহিকতা মে মাসজুড়ে তারুণ্যকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এই তিনটি অঙ্গ সংগঠন। এই কর্মসূচির আওতায় চারটি প্রধান বিভাগীয় শহরে সেমিনার ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে—
চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, এবং সর্বশেষ আয়োজন হচ্ছে ঢাকায়।
প্রতিটি আয়োজনে দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।
সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত সোমবার (২৬ মে) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, “আমরা চট্টগ্রামে তারুণ্যের এক মিলনমেলা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ার সমাবেশেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ঢাকার এই সমাবেশে সব রেকর্ড ভেঙে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর উপস্থিতি নিশ্চিত হবে বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।”
তিনি আরও বলেন, “এই সমাবেশ তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের দাবিকে বেগবান করবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণ আরও দৃঢ় করবে।”
সতর্ক নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় নেওয়া হয়েছে বৃহৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিকল্প রুট নির্ধারণ এবং সাধারণ নাগরিকদের চলাচলে স্বস্তি রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সেজন্য বিএনপির পক্ষ থেকেও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এই সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি তারুণ্যকে রাজনীতির কেন্দ্রে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তরুণদের রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের মধ্যকার রাজনৈতিক উদ্দীপনা জাগাতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।