ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় চরম আতঙ্কে রয়েছে ইরান। বিশেষ করে রাজধানী তেহরানে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ এখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
রয়টার্স ও সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার তেহরানের বিভিন্ন গ্যাস স্টেশনে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। শহর ছাড়তে মরিয়া অনেকেই পরিবার নিয়ে পেট্রোল সংগ্রহের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন।
একজন তেহরানবাসী রয়টার্সকে বলেন, “মানুষ ভীত ও উৎকণ্ঠিত। শহরজুড়ে পেট্রোলপাম্পগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। সবাই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শহর ছাড়তে চাইছে।” আরেকজন বলেন, “চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে না। আর আশ্রয়ের জন্য নির্ধারিত কোনো কেন্দ্রও নেই। এই শহরে জরুরি পরিস্থিতির জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপদ স্থান আছে বলে মনে হয় না।”
খবরে জানা গেছে, তেহরান থেকে অনেকে ইরানের উত্তরাঞ্চলের দিকে, বিশেষ করে কাস্পিয়ান সাগর উপকূলীয় এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও সেসব এলাকার রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। তবুও মানুষ সেই ঝুঁকি নিয়েই পালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রোববার ইসরায়েল তেহরানের পাশাপাশি ইরানের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলেও হামলা চালায়। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ও সামরিক স্থাপনাগুলো। ইতোমধ্যে এই হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত নয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
তবে হামলায় শুধু সামরিক নয়, বরং বেসামরিক মানুষও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইরান সরকার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত নিহতদের বড় একটি অংশই সাধারণ নাগরিক। পরিস্থিতির অবনতিতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও বাড়ছে।