ভারতের হামলা নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে- আমরা এই নিহতদের প্রতিটি রক্তের ফোঁটার প্রতিশোধ নেব।’
ভারত গত রাতে পাকিস্তানের ওপর হামলা চালিয়ে ‘ভুল করেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মূল্য দিতে হবে তাদের’।
‘ভারত হয়তো ভেবেছিল পাকিস্তান পিছু হটবে, কিন্তু ভারত ভুলে গেছে যে এটি এমন একটি জাতি যারা তাদের দেশের জন্য লড়াই করতে জানে,’ বলেন তিনি।
ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবির প্রতি ইঙ্গিত করে শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে এবং ‘আমাদের পক্ষ থেকে তাদের জবাব দেয়া হয়েছে’।
দিল্লির পক্ষ থেকে এখনও লাহোরে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার বিষয়ে কোনো নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি। সাধারণত, এ ধরনের স্পর্শকাতর সামরিক ঘটনার বিষয়ে ভারত সরকার দ্রুত কোনো মন্তব্য করে না এবং বিষয়টি যাচাই করার পরেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়।
তবে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যেহেতু এই দাবি করা হয়েছে এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমেও এর উল্লেখ রয়েছে, তাই আন্তর্জাতিক মহল এই খবরের দিকে নজর রাখছে। ভারতের প্রতিক্রিয়া এলে পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হবে। এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মিরে ভারতীয় হামলা নিহত ২৬ জনের মধ্যে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে শিশু রয়েছে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সাত বছর বয়সী একটি ছেলে যখন নিহত হয় তখন তার মা এবং ভাইয়ের সাথে বাড়িতে ছিল।
গত মাসে পেহেলগাম হামলা পাকিস্তানের সাথে ‘সম্পর্কিত ছিল না’ এবং দেশটিকে ‘ভুল কারণে অভিযুক্ত’ করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অনুরোধ না রাখা বা উপেক্ষার অভিযোগ তোলার আগে ভারতের প্রতি আমরা তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম।
ভাষণে দেশের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানিদের সাহস দেখানোর আহ্বান কে জানিয়েছেন, সেই বিষয়ে আরও তথ্য দিলে আমি আপনাকে সঠিক প্রেক্ষাপট জানাতে পারবো। তবে, এই ধরনের আহ্বান সাধারণত দেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা বা সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা করে থাকেন, যখন দেশ কোনো অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক হুমকির সম্মুখীন হয়।
যদি এই আহ্বানটি সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে করা হয়ে থাকে, তাহলে এর অর্থ হতে পারে: দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেকোনো বহিরাগত শক্তির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকা। কঠিন পরিস্থিতিতেও সাহস এবং মনোবল বজায় রাখা, যাতে শত্রুদের মোকাবিলা করা যায়। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকা।
আপনি যদি বক্তার নাম বা ভাষণের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আরও তথ্য দেন, তবে আমি আপনাকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে সক্ষম হবো।