খাজা আসিফের এই দাবি যদি সত্যি হয়, তবে এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাতের একটি বড় মোড় নেবে। একটি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যখন আনুষ্ঠানিকভাবে এমন দাবি করেন, তখন এর যথেষ্ট গুরুত্ব থাকে।
তবে, এই দাবির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা কঠিন, যতক্ষণ না ভারত সরকার বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সূত্র এর সত্যতা নিশ্চিত করে। অতীতেও ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পাল্টাপাল্টি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার কিছু সত্য প্রমাণিত হয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।
যদি পাকিস্তান বিমান বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে থাকে, তবে এর সম্ভাব্য পরিণতিগুলো নিম্নরূপ হতে পারে:
এই মুহূর্তে, খাজা আসিফের এই দাবি কতটা সত্য, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে, এই ধরনের দাবি নিঃসন্দেহে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি।
জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ বলেন, পাকিস্তান তাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে এবং ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণের তীব্র ও নির্ভুল জবাব দিয়েছে।
পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে সামা টিভির অনলাইনে দাবি করা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার চরম উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহাওয়ালপুরের আহমদপুর ইস্টের কাছাকাছি সীমান্তের ভারতীয় অংশে একটি রাফায়েল এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্টিপোরার দক্ষিণ-পশ্চিমে আরও একটি রাফায়েল ভূপাতিত হয়েছে।
পাকিস্তানের সরকারি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
এই মুহূর্তে, আসল সত্য নির্ধারণ করা কঠিন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা উচিত, যা এই সংঘাতের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে সহায়ক হবে। তবে, এই ধরনের পাল্টাপাল্টি দাবি নিশ্চিতভাবেই আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে।