মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে সরকার ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ।
নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা সরাসরি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আর গণ্য হবেন না। তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এতে প্রবাসী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও আর বীর মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বহাল রাখবেন না।
এছাড়া আরও চার শ্রেণির পূর্বে স্বীকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে:
১. বিদেশে অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখা বাংলাদেশি পেশাজীবীরা।
২. মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী, দূত ও বিভিন্ন সহকারী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।
৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-কলাকুশলী এবং দেশি-বিদেশি সাংবাদিক যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন।
৪. স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।
এর আগে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২ অনুযায়ী, এই পাঁচ শ্রেণির সবাই—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রবাসী সরকারের সদস্যরাও—বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এখন তারা আর ওই মর্যাদায় থাকছেন না।
এই পরিবর্তন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে বড় ধরনের নীতিগত পুনর্নির্ধারণ, যা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।