অরুণাচল প্রদেশ, ভারত — সাহস, দৃঢ়তা আর নেতৃত্বের এক অনবদ্য প্রদর্শনী দেখিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ যুব দল। আজ ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ইউপিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে শক্তিশালী নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথমার্ধে দুই দলই গোল করতে ব্যর্থ হলেও ম্যাচ জমে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল এবং ডিফেন্ডার আশিকুর রহমান দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে কর্নার থেকে নেওয়া ফয়সালের চমৎকার ক্রসে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন আশিকুর রহমান। নেপালের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক গোল ঠেকাতে ব্যর্থ হন। এই গোলেই ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর ঠিক সাত মিনিট পর, ৮০তম মিনিটে, গোলদাতা থেকে এবার গোল স্কোরারে পরিণত হন অধিনায়ক ফয়সাল। সতীর্থ মানিকের পাস থেকে বক্সের ভেতর দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
৮৬তম মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণ ভেদ করে একটি গোল শোধ দেয় নেপাল। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন এগিয়ে আসলে, নেপালের ফরোয়ার্ড তাঁর পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান।
রেফারি অতিরিক্ত সাত মিনিট ইনজুরি সময় দিলেও, নেপাল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বরং বাংলাদেশ দল রক্ষণে দৃঢ় থেকে ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে শেষ করে বিজয়ের আনন্দে ভাসে।
প্রথমার্ধে অবশ্য বাংলাদেশ খুব একটা ছন্দে ছিল না। নেপাল বলের দখল এবং আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল। ম্যাচের ৩০তম মিনিটে নেপালের একটি শট সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসে, যা ছিল প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় সুযোগ।
বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন প্রথমার্ধে একাধিকবার পরীক্ষার মুখে পড়লেও কোনোভাবে গোল বাঁচিয়ে রাখেন। ৩২ মিনিটে একটি ফ্রি-কিকের সুযোগ পেলেও বাংলাদেশ তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়।
আগামী ১৮ মে অনুষ্ঠিত হবে প্রতীক্ষিত ফাইনাল। স্বাগতিক ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
দলের পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ শিবির এখন ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বাস্তব হতে পারে।