আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল, আদালত অবমাননার অভিযোগ। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিতর্কিত অডিও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ জারি করেছে। পাশাপাশি তাকে হাজির করতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। প্রসিকিউশন পক্ষ জানায়, ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ — সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই বক্তব্যের সূত্র ধরে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
ফরেনসিক বিশ্লেষণে বক্তব্যের কণ্ঠ শেখ হাসিনার
এই অডিও ক্লিপটি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ফরেনসিক বিশ্লেষণ পরিচালনা করে এবং তা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, কণ্ঠটি শেখ হাসিনারই। বিষয়টি গত ৩০ এপ্রিল সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “অডিও ক্লিপে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ তদন্ত সংস্থা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়েছে, কণ্ঠটি শেখ হাসিনার।”
এই বক্তব্যকে আদালত অবমাননা ও বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনার মাধ্যমে ‘জুলাই বিপ্লব’ সংশ্লিষ্ট প্রথম মামলার বিচার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, মামলাটির তদন্ত শেষ হয় ২১ এপ্রিল। অভিযোগ আমলে নিলে বিচারের কার্যক্রম পরবর্তী ধাপে এগোবে।
৮ জন অভিযুক্তের মধ্যে বর্তমানে চারজন—ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম—কারাগারে আছেন।