• অর্থনীতি

    আগামী মাসে সারাদেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা

      প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ১:১৩:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আগামী মাসে সারাদেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা
    আগামী মাসে সারাদেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা

    আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন

    আগামী মে মাস থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

    ‘পোল্ট্রি শিল্প সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ঈদের মৌসুমেও ভয়াবহ লোকসান করেছে। দু’ মাসে ডিম ও মুরগির খাতে লোকসান দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা।’ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিবৃতিতে বিপিএ’র সভাপতি মো: সুমন হাওলাদার অভিযোগ করেন, পোল্ট্রি শিল্প সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ঈদের মৌসুমেও ভয়াবহ লোকসান করেছে। দু’ মাসে ডিম ও মুরগির খাতে লোকসান দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

    রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেছেন। প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা লোকসানে, এক মাসে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে তিনি জানান।

    অন্যদিকে, এই মৌসুমে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন করে তিন কোটি ডিম। প্রতি ডিমে দু’ টাকা করে লোকসানে, দু’ মাসে ডিমে লোকসান হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা।

    এমন অবস্থায় সারা দেশে প্রান্তিক ডিম ও মুরগির খামারিদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে অথচ সরকার নিশ্চুপ ভূমিকায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিপিএ’র সভাপতি।

    সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নীরবতায় কিছু করপোরেট কোম্পানি পুরো পোল্ট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে বলেও অভিযোগ তার।

    বিবৃতিতে বলা হয়, করপোরেট কোম্পানিগুলো ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের পাশাপাশি ডিম ও মুরগির বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের দাসত্বের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রান্তিক খামারিদের।

    এর বিরুদ্ধে আগামী মে মাস থেকে সারা দেশে প্রান্তিক খামারিরা খামার বন্ধ রাখবেন বলে বিবৃতিতে ঘোষণা দেয়া হয়। সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা না নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে উল্লেখ করা হয়।

    বিবৃতিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো :

    ১) পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্যনিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও নির্ধারণ কমিটি গঠন।

    ২) ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়ন।

    ৩) পোল্ট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি গঠন।

    ৪) ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য সরকারের পুনর্বাসন প্যাকেজ।

    ৫) খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড দেয়া।

    ৬) কোম্পানিকে শুধু কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখা।

    ৭) কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও কোম্পানির খামার নিষিদ্ধ করা।

    ৮) কেজিভিত্তিক ডিম ও মুরগি বিক্রির নীতিমালা প্রণয়ন।

    ৯) ডিম-মুরগির রফতানির সুযোগ বৃদ্ধি।

    ১০) পূর্ণাঙ্গ ‘পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন।

    বিবৃতিতে এসব দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

    সূত্র : বিবিসি

     

    আরও খবর

    Sponsered content