• সারাদেশ

    কুড়িগ্রামে কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার

      প্রতিনিধি ২২ মার্চ ২০২৫ , ৭:৫১:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    কুড়িগ্রামে কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার
    কুড়িগ্রামে কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার

    আপনার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এই পোস্ট শেয়ার করুন

    জাহিদ খান,জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৮ দিন ধরে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ফজলু হককে গ্রেপ্তার করেছে রাজারহাট থানা পুলিশ। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে রংপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    শনিবার (২২ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন।

    গ্রেপ্তার হওয়া ফজলু হক লালমনিরহাট জেলার চরগোগুণ্ডা এলাকার টেংরা মামুদের ছেলে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্মীয়তার সম্পর্কের সুবাদে গত ২ মার্চ রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সুলতান মাহমুদ গ্রামে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িতে যান ফজলু হক ও তার স্ত্রী।

    বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফজলু অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে মোটরসাইকেলে তুলে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরগোগুণ্ডা গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে স্ত্রীসহ কিশোরীকে তাদের বাড়িতে আটকে রেখে ১৮ দিন ধরে ধর্ষণ করেন ফজলু ও তার সহযোগী সেলিম। এ সময় তারা কিশোরীর ভিডিওচিত্রও ধারণ করে।

    বুধবার (২০ মার্চ) রাতে কিশোরী কৌশলে পালিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে পথে ফজলুর লোকজন তাকে ধাওয়া করে। প্রাণভয়ে কিশোরী পার্শ্ববর্তী রাজারহাটের গতিয়াসাম গ্রামে আবদুল বাছেদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

    পরদিন, ভুক্তভোগীর পরিবার রাজারহাট থানায় তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

    রাজারহাট থানার ওসি তছলিম উদ্দিন জানান, মামলার প্রধান আসামি ফজলুকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    তিনি বলেন, “এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।”

    এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

    আরও খবর

    Sponsered content