প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২৫ , ৯:১৪:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৬ তম আসর বসছে আগামী শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে। বলীখেলা ঘিরে ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল লালদীঘি মাঠ ও আশপাশে বসবে দেশের অন্যতম বড় বৈশাখী মেলা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নগরীর লালদীঘিপাড়স্থ সিটি করপোরেশন লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল।
শওকত আনোয়ার বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠা এই আয়োজনকে ঘিরে এবারও তিন দিনের বৈশাখী মেলায় নানা আয়োজন থাকবে। গ্রামীণফোন এবারের বলীখেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
বলীখেলার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী মর্যাদাসম্পন্ন ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ১৯০১ সালের ১২ বৈশাখ আমার দাদা, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক মরহুম আব্দুল জব্বার সওদাগর এই বলীখেলার সূচনা করেন। যুবকদের শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার পাশাপাশি জাতীয় চেতনা জাগাতে বলীখেলা ছিল একটি কৌশলী উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, এ বছর বলীখেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১০০ জন বলী ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। তারা ২৪ তারিখ মাঠে উপস্থিত হবেন। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক বলীর জন্য সম্মানীও থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লালদীঘি মাঠে বলীখেলার জন্য মূল রিং স্থাপন করা হবে। নগরীর কোতোয়ালি মোড়, আন্দরকিল্লা, সিনেমা প্যালেস ও বদরপাতি এলাকা ঘিরে বসবে বৈশাখী মেলার শতাধিক স্টল। শিশুর পুতুল-খেলনা থেকে শুরু করে খাবার, হস্তশিল্প, পোশাক, কসমেটিকসহ নানান সামগ্রী পাওয়া যাবে এই মেলায়।
নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আন্দরকিল্লা থেকে কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত প্রধান সড়কে মেলার স্টল না বসানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। দোকান বিক্রি, দখল, চাঁদাবাজি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আব্দুল জব্বারের বলীখেলাকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে লালদীঘি চত্বরকে তার নামে নামকরণ ও বলীখেলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের রিজিওনাল হেড মো. মোরশেদ আহমেদ বলেন, জব্বারের বলীখেলার মতো জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। অতীতেও এই আয়োজনে পাশে ছিলাম। আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে এবারও এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মো. মোরশেদ আহমেদ, বিজনেস সার্কেলের মার্কেট কমিউনিকেশন প্রধান মো. আব্দুল্লাহ আল নূর, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহেদুল আলম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি শাহ নেওয়ারসহ আয়োজক কমিটির অন্য সদস্যরা।